ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান এবং এক্ষেত্রে অনলাইনের সহায়তা গ্রহণ করেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানো প্রত্যেকটি তথ্য ও প্রত্যেকটি দিক নির্দেশনা মেনে চলবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি আমরা এখানে খুব সহজ নিয়ম অনুসরণ করে আলোচনা করব যাতে আপনারা এই নিয়ম বুঝতে পারেন এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে সক্ষম হন। তাই আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড পাননি অথবা ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার পরেও অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনের কপি নিজেদের মোবাইল ফোনে পিডিএফ ফাইল আকারে সংগ্রহ করে রাখতে চান তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সবচাইতে সহজ উপায় এবং সহজ নিয়ম এখান থেকে জেনে নিবেন এবং প্রত্যেকটি তথ্য অনুসারে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করতে পারলেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব হবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্পর্কে প্রত্যেকটি তথ্য নিখুঁতভাবে জানার চেষ্টা করে। তবে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে এনআইডি ওয়ালেট নামক একটি অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে আগে থেকেই ডাউনলোড করতে হবে।

তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করবেন এবং যখন আপনাকে এনআইডি ওয়ালের ডাউনলোড করার কথা বলা হবে তখন ডাউনলোড করবেন তা হলেও হবে। আপনি পরবর্তিতে অথবা এখন এনআইডি ওয়ালের ডাউনলোড করে নিয়ে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিঙ্ক এখান থেকে দেখে নিন এবং কপি করে নিন। এখন আপনাকে সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি প্রোফাইল খুলতে হবে।

আপনি যদি প্রোফাইল ইতোমধ্যে খুলে থাকেন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম আপনার কাছে অজানা নয়। কিন্তু আপনি যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম জানেন না তাই আপনাকে একটি নতুন একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে রেজিস্টার করুন নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে। উল্লেখ্য যে আপনারা এটা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। আপনি যখন রেজিস্টার করুন অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস এবং ফাঁকা ঘর চলে আসলো এবং প্রত্যেকটি ঘরে আপনি আপনার তথ্য বসিয়ে দিবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার যদি আপনার সংগ্রহ করা থাকে তাহলে প্রথম ঘরে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার অথবা নিবন্ধনের সময় যে ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ প্রদান করা হয়েছিল সেই স্লিপ নাম্বার সেখানে প্রদান করবেন। এরপর আপনাকে নিচের ঘরে গিয়ে আপনার জন্ম তারিখ, জন্ম মাস এবং জন্ম সাল উল্লেখ করতে হবে। তারপরে আপনাকে নিচে গিয়ে সেখানে প্রদান করা একটি ক্যাপচা ফাকা ঘরে প্রদান করতে হবে এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পেজে গেলে আপনাদের ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার সময় যে সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন সেই সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে দিন।

ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য যখন আপনার প্রদান করা হয়ে গেলো তখন আপনাকে পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার প্রদর্শন করা হবে। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে সেই মোবাইল নাম্বার আপনার এবং নাম্বারটি যদি সচল থাকে তাহলে আপনি সেই নাম্বারে ওটিপি পাঠানোর জন্য ওকে বাটনে ক্লিক করতে পারেন। আর যদি নাম্বার পরিবর্তন করতে চান তাহলে নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন এবং সেই নাম্বারে ওটিপি নাম্বার নিতে পারেন। তারপরে আপনাকে এনআইডি ওয়ালের ডাউনলোড করার নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

এটি যদি ইতোমধ্যে ডাউনলোড করা থাকে তাহলে সেই অ্যাপস এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার ফেস এমনভাবে ধরবেন যাতে সঠিকভাবে আপনাকে শনাক্ত করা যায়। সেখানকার কাজ শেষ হলে আপনারা ওয়েবসাইটে ফিরে আসবেন এবং সেখানে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। ইউজার নাম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এমন একটি আনকমন নাম ব্যবহার করবেন যাতে সেটি আপনার মনে থাকে এবং ওয়েবসাইট সেটি গ্রহণ করে। এভাবে প্রোফাইল খোলার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য একটি প্রোফাইল তৈরি হয়ে যাবে এবং নিচের দিকে গিয়ে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার অপশন পেয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *