রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

দেশের অভ্যন্তরে অথবা বাইরে আপনারা যখন কোন ইঞ্জিন চালিত গাড়ি চালাবেন তখন আপনার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক ভাবে সংগ্রহ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত আপনি গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কতোটা পারদর্শী এই বিষয়গুলো প্রমাণিত হয় না বলে অনেক সময় সার্জেন্ট দের কাছে আমাদেরকে জরিমানা প্রদান করতে হয়। আর আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে দেখা যায় যে আপনার গাড়ি থানাতে নিয়ে চলে যায় এবং এক্ষেত্রে আপনার পরবর্তীতে অনেক ঝামেলায় পড়েন। তবে নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনারা যারা জানেন না তাদের জেনে নিন যে আপনার যদি গাড়ি নিজস্ব না থাকে তারপরও আপনারা এই ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে পারবেন।

আপনাদের এলাকায় অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে অথবা বিভাগ পর্যায়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি থাকলে সেখানে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন জমা দিয়ে আসবেন। আবেদন জমা দিয়ে আসার পর আপনাদেরকে নির্দিষ্ট দিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করার তারিখ প্রদান করা হবে এবং সেদিন আপনারা কি এই সকল কাজ শেষ করে আসবেন। পরবর্তীতে আপনাদের লিখিত, প্রাকটিক্যাল এবং ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখান থেকে এই পরীক্ষাগুলো উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পর আপনারা যখন ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন না অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি থাকবে তখন আপনারা চাইলে এটি অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারেন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোরেশন কর্তৃপক্ষ আপনাদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন অনুযায়ী একটি রেফারেন্স নাম্বার প্রদান করে। আপনারা যেহেতু রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সঠিক নিয়ম জানতে চাইছেন তাদেরকে বলব যে নিচের নিয়ম অনুসরন করলেই আপনারা এই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট আউট করার পর কেমন হবে অথবা সেখানে আপনার ছবি কেমন এসেছে এই বিষয়গুলো যদি নিশ্চিত হতে চান তাহলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে দেখতে পারেন।

আর আপনার এই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ক্ষেত্রে কতদিন সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে বেসিক ধারণা অর্জন করতে চাইলে আপনারা অবশ্যই এই নিয়ম অনুসরণ করতে কার্পণ্য করবেন না। তাই আপনাদের ভেতরে যারা রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার প্রক্রিয়া জানতে চাইছেন তাদেরকে বলব যে আপনারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডিএল চেকারের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। তাছাড়া আপনি যদি এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সঠিক প্রক্রিয়া জানতে চান তাহলে এই কাজটি করতে পারেন এবং এখানে আপনাদের সুবিধার জন্য সেই নিয়ম চালু করা হলো।

যেহেতু আপনি ডিএল শেখার এর মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চাইছেন এবং এক্ষেত্রে আপনি আপনার রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করতে চাইছেন সেহেতু আপনারা প্লে স্টোরে চলে যান এবং সেখানে গিয়ে ডিএল চেকার নামক একটি অ্যাপ সার্চ করুন। আপনাদের সার্চ করার ভিত্তিতে সর্বপ্রথমে আপনারা এই এপস পেয়ে যাবেন এবং সেটি ডাউনলোড করে নিয়ে ইন্সটল করে নিবেন। তারপরে সেই অ্যাপস এ প্রবেশ করলে আপনাদের সামনে একটি ফাঁকা ঘর আসবে এবং ফাঁকা ঘরে কিছু তথ্য প্রদান করার জন্য ঘর আসবে। প্রথম ঘরে আপনি আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে দিয়ে দিন এবং পরের ঘরে গিয়ে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বার অথবা রেফারেন্স নাম্বার প্রদান করুন।

যেহেতু আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এখনো হাতে পাননি এবং এই নাম্বারটি জান না সেহেতু রেফারেন্সের ঘর নির্বাচন করে আপনারা অবশ্যই সেখানে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে দিন। তাহলে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট আউট না হলেও সেখান থেকে আপনারা এটির নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনার কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। এভাবে আপনারা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি এর অধীনে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সে আবেদন কতদূর এবং সেই আবেদনের ভিত্তিতে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কতদিন পর পেতে পারেন তা আজকের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে চেক করে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *