অনলাইনে মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম

বর্তমানে অর্থনৈতিক খাতে অনলাইন একটি অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার এখান থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করে নিয়ে এসে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা রাখে। পুরুষ নারী উভয়েই এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে এবং নিজেরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে।

তবে অনলাইনে নারীদের ইনকাম করা বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়, কারণ নারীদের সংসার সামলে বাহিরে চাকরি করতে যাওয়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। সেজন্য ঘরে বসে অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি।

ইউটিউবিং

ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড দিয়ে ঘরে বসেই ইনকাম করা সম্ভব।বর্তমানে অনেকেই এ কাজ করে জয়ী হয়েছেন এবং অন্যদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। বিশেষত নারীদের সংসার ,সন্তান সামলানোর ঝামেলা থাকে তাদের জন্য এই পেশা পারফেক্ট বলে মনে করি। আপনি যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আইডিয়া নিতে পারেন।

ইউটিউবে রান্নার ভিডিও

ঘরে বসে ইউটিউবে কাজ করে অনেক নারী জনপ্রিয়তা পেয়েছে, শুধুমাত্র জনপ্রিয়তায় নয় তারা মাসে মাসে ইনকাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা। ইউটিউবে আপনার প্রফেশন বিভিন্নভাবে ঠিক করতে পারেন। আপনার যদি রান্নার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে তাহলে আপনার হাতের কাছে যা সরঞ্জামাদি আছে তা দিয়েই রান্না করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

খাবার প্রিয় মানুষগুলো এই বিভিন্ন রান্নার রেসিপি দেখতে পছন্দ করেন, আপনি ইউটিউবে আপনার জানা রান্নার রেসিপি গুলো শেয়ার করতে পারেন। ইউটিউব ঘাঁটলেই দেখা যায় রান্নার রেসিপির ভিডিও গুলোতে এক মাসের মধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয় অর্থাৎ রান্নার রেসিপি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড দিয়ে আপনার ইনকাম করার একটি বিরাট উন্মুক্ত রয়েছে।

ইউটিউবে হাতের কাজের ভিডিও আপলোড

আপনি যদি হাতের কাজে পারদর্শী হন তাহলে সে ভিডিও আপলোড করে দর্শকের মন জিতে নিতে পারেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা।

এছাড়াও কাগজের তৈরি ফুল বানিয়ে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারেন অথবা বর্তমানে কাগজের বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়ালমেট পাওয়া যাচ্ছে হ্যান্ডমেট যেগুলোর ভিডিও আপলোড করলে এক মাসের মধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পাওয়া সম্ভব। আপনি যদি মন দিয়ে কাজ করেন এবং দর্শকের সুনজরে চলে আসতে পারেন তাহলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়তে থাকবে এবং আপনার ইনকাম অব্যাহত থাকবে।

ইউটিউবে টিচিং করা

আপনার যদি টিচিং অর্থাৎ অন্যদের শিখাতে এবং আপনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে আপনার জ্ঞানগুলো বিতরণ করতে চান তাহলে ইউটিউবে আপনার লেকচার গুলো তুলে ধরতে পারেন অর্থাৎ অনলাইনে শিক্ষার্থীদের কাছে আপনার ভিডিওগুলো তুলে ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ইনকামও হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারবে।

আপনার ভিডিও যদি ব্যতিক্রমধর্মী হয় এবং শিক্ষার্থীরা যদি আপনার ভিডিও থেকে শিক্ষামূলক কিছু পেতে পারে তাহলে আপনি তার বদৌলতে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারেন।যেমন: মুনজেরিন শাহীদ,চমক হাসান ( মুঁজেরীন শহীদ যিনি ইউটিউবে ইংলিশ ক্লাস নিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে, মূলত তিনি রবি টেন মিনিট স্কুল ইংরেজিতে ক্লাস নিতেন যেটা অনলাইন ভিত্তিক পরিচালিত হয়)।

ইউটিউবে মজার ভিডিও ,ডান্সিং,গান আপলোড

আপনি যদি মানুষকে মজা দিতে পছন্দ করেন অথবা আপনার কথায় যদি মানুষ আনন্দ পায় তাহলে আপনার কথাগুলো ইউটিউবে আপলোড করলে লক্ষ লক্ষ ভিউ হতে পারে।

তাছাড়া আপনি যদি গান, নাচ পছন্দ করেন এবং আপনার গান, নাচ সকলের মাঝে তুলে ধরতে চান তাহলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার কোনো বিকল্প নেই,এখানে গান, নাচ,আবৃত্তি,ফানি ভিডিও আপলোড করে আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে চ্যানেলের একসেস পাবেন?

প্রশ্ন হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করলেই কি ইনকাম শুরু হয়ে যাবে? উত্তরে বলব:না, কারণ আপনাকে ইউটিউব চ্যানেলে এক্সেস পেতে হবে তারপরে চ্যানেলটি প্রমোশন করতে হবে। এখন প্রশ্ন আসে চ্যানেল একসেস পেতে কি কি লাগবে। আপনার চ্যানেলে 1000 গ্রাহক লাগবে এবং গত এক বছরে আপনার চ্যানেলের ভিউ হতে হবে 4000 ঘন্টা, তাহলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একসেস দিবে এবং তখন থেকে আপনি ভিডিও আপলোড আপনার ইনকাম শুরু হবে ভিউয়ের উপর ভিত্তি করে।

কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইনিং,এডিটিং

আপনি কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে অনায়াসে 30- 40 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন, আবার আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনে পারদর্শী হন তাহলে বিভিন্ন সংস্থার কাজ করে দিতে পারেন। বাংলাদেশের অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তাদের কন্টেন্টগুলো দক্ষ কোন মানুষকে নিয়ে লিখিয়ে নিতে চায়। এখন আপনি যদি সৃজনশীলতার সহিত কাজ করেন তাহলে আপনিও আসতে পারেন সংস্থাগুলোর সুনজরে। সে কোম্পানিগুলোর সুনজরে।

সতর্কতাঃ

অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। আপনার ওয়েবসাইট যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে যেকোনো মুহূর্তে হ্যাকাররা হ্যাক করে নিতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি যাবে। আবার কাজ করার সময় আপনি যদি অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে কপি করেন তাহলে কপিরাইট আইনে আপনার নামে মামলা হতে পারে। সুতরাং অনলাইনে কাজ করার সময় একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *