পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

বর্তমান সময়ে ভোটার আইডি কার্ডের যাবতীয় কাজ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হয় বলে এবং প্রত্যেকটি তথ্য ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ আছে বলে আপনারা ওয়েবসাইট থেকে পুরাতন আইডি কার্ড দেখতে পারবেন এবং চাইলে সেটির অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তাই আপনাদের বিশেষ সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি এবং এটি কিভাবে অনলাইন থেকে থেকে নিতে হয় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।

আপনি যদি আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি নষ্ট করে ফেলেন অথবা হারিয়ে ফেলেন অথবা নিজেদের সংগ্রহ পিডিএফ ফাইল আকারে এটি রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। সাধারণত নিয়ম অনুসারে প্রত্যেকটি ভোটার আইডি কার্ড ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ হলেও প্রত্যেকটি পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ওয়েবসাইট লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে এবং এটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। তবে ভোটার আইডি কার্ড আপনারা যখন ডাউনলোড করবেন অথবা দেখতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ধাপ সহজ ভাবে অনুসরণ করার উপায় রয়েছে।

আমরা আজকে আপনাদের এই সুবিধার জন্য পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করতে চলেছে এবং এখান থেকে তা শুরু করছি। প্রথমত আমরা আপনাদেরকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এড্রেস বলব কারণ অনেকেই এই ওয়েবসাইটের এড্রেস জানেন না।আপনারা যে কোন ব্রাউজার থেকে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এগিয়ে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইট এখান থেকে কপি করে নিয়ে সেখানে গিয়ে পেস্ট করুন এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। যেহেতু আপনি অনলাইন থেকে এই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইছেন সেহেতু আপনার আগে থেকে কোন প্রোফাইল খোলা নেই এটা আমরা জানি।

তাই আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কোনো টাকা-পয়সা অথবা কোন ঝামেলা নেই। প্রথমত আপনাকে রেজিস্টার করুন নামক অপশনে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনাকে তথ্য রেজিস্টার করতে হবে। তথ্য রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথমে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত যে সকল তথ্য প্রত্যেকটি ঘরে চাওয়া হবে সে সকল তথ্য দিয়ে দিবেন। এখন আপনাকে পরবর্তী করে যেতে হবে ও সেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যেগুলো চাওয়া হবে সেগুলো সঠিকভাবে দিয়ে দিন।

পরবর্তী ঘরে গেলে আপনাদের থেকে মোবাইল নাম্বার চাওয়া হবে এবং যেহেতু এটি একটি পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড সেহেতু মোবাইল নাম্বার দিয়ে এটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল না। তাই এমন একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করুন যেটি আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সেই ব্যক্তির মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস দিতে পারে এবং সেই এসএমএস থেকে আপনার ওটিপি কোড সংগ্রহ করতে পারেন।

তাই মোবাইল নাম্বার দিয়ে ওকে করলেই আপনাদের ফোনে একটা এসএমএস আসবে এবং সেই এসএমএস থেকে আপনারা ওটিপি কোড সংগ্রহ করে সঠিকভাবে বসিয়ে দিন। পরবর্তী ঘরে গেলে আপনাদেরকে এনআইডি ওয়ালেট নামক একটি প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করতে হয় কথা বলবে এবং সেটি আপনাদেরকে অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে।

প্রকৃতপক্ষে এটি আসলে যার ভোটার আইডি কার্ড সেই ব্যক্তি নিজে করছে কিনা তা যাচাই করার জন্য এটি করতে হবে। এখানে আপনাকে মুখমন্ডল ডান দিক থেকে বাম দিকে ঘুরাতে হবে এবং শনাক্ত করতে হবে। যদি ভোটার আইডি কার্ডের ছবির সঙ্গে আপনার মুখমন্ডলের পরিচিতি ঘটে তাহলে আপনি এখানকার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং ওয়েবসাইটে ফিরে আসবেন। এখানে ফিরে আসার পর আপনাকে প্রোফাইল খোলার জন্য একটি ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এমন একটি ইউজার নেম সেট করুন যা ওয়েবসাইট গ্রহণ করে এবং আনকমন হয়। তারপরে আপনাকে নিয়ম অনুসারে একটি প্রোফাইল খুলে সেখান থেকে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *