নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম যারা জানেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আজকে এই নিয়ম একেবারে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ব্যাপারে আপনারা যদি মোবাইলের ব্যাপারে এক্সপার্ট হন এবং প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারেন তাহলে আপনাদের ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে এটি লিপিবদ্ধ করার জন্য বলব। আর যদি কোথাও কোন জড়তা থাকে অথবা যদি মনে করেন নিজের থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে গেলে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়ে যেতে পারে তাদের কম্পিউটার সার্ভিস এর দোকানে গিয়ে এটি তৈরি করার ব্যাপারে বলবো।

তবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরির ব্যাপারে এখানে বেসিক কিছু ধারণা প্রদান করবো যেগুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। জাতীয় পরিচয় পত্র প্রত্যেকটি ব্যক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এবং 18 বছর পূর্ণ হলে এটি আপনাকে তৈরি করতে হবে। 2023 সালের নতুন নিয়ম অনুসারে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যে নিয়ম আপনাকে মেনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে সেগুলো হলো খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে সর্বপ্রথম এ ওয়েবসাইটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড কোথায় তৈরি করতে হয় এবং কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে তা অনেকেই জানেন না বলে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকটি এখান থেকে কপি করে নিবেন এবং এই লিংক ব্যবহার করে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করবেন। সেখানে প্রবেশ করলেই আপনাদেরকে বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে কিন্তু তথ্য পূরণ করার আগে সর্ব প্রথমে আপনাদের সামনে যে ওয়েবসাইট এর হোমপেজঃ চলে আসবে তার একেবারে উপরের ডান দিকে দেখতে পারবেন যে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন এমন কিছু লেখা আছে।

সেই ক্ষেত্রে আপনারা সঠিক অপশন সিলেক্ট করবেন এবং সেখানে প্রবেশ করে আপনার নাম ইংরেজিতে সার্টিফিকেট অনুযায়ী পুরোপুরি নাম লিপিবদ্ধ করুন। তারপরে নিয়ম অনুসারে আপনার জন্ম তারিখ প্রত্যেকটি ঘরে আলাদা আলাদাভাবে প্রদান করুন। নিচে দেখবেন যে একটি অস্পষ্ট ক্যাপচার হয়েছে এবং এই ক্যাপচা সঠিকভাবে বোঝা নিয়ে ফাঁকা ঘরে দিয়ে পরবর্তী পেজে চলে যান। সেখানে গিয়ে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার দিন এবং মোবাইল নাম্বার অবশেষে সচল থাকতে হবে। মোবাইল নাম্বার প্রদান করা হয়ে গেলে আপনাদেরকে একটি এসএমএস পাঠানো হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কোড আপনাদেরকে পরবর্তী ফাঁকা ঘরে বসিয়ে দিতে হবে।

এখন পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে একটি আনকমন ইউজারনেম দিতে হবে এবং ছয় থেকে আট ডিজিটের পিন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। এই পিন নাম্বার এমনভাবে ব্যবহার করবেন যাতে আপনি পরবর্তিতে ভুলে না যান এবং সেটি সব সময় আপনার মনে থাকে। কারণে পাসওয়ার্ড দিয়েন আমি পরবর্তীতে আবার ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে খুলে ফেললেন এবং একাউন্টের তিনটি ধাপে আপনাকে তথ্য প্রদান করতে হবে।

প্রথম ধাপে আপনাদেরকে পার্সোনাল তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার নিজেদের নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রদান করার পাশাপাশি জাতীয়তা, লিঙ্গ রক্তের গ্রুপ এগুলো দিয়ে দেওয়া লাগবে। যখন আপনি এই সকল তথ্য প্রদান করলেন তখন পিতা-মাতার তথ্য চলে যাবেন এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে দিবেন। ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে আপনাদেরকে সনাক্তকরণ তথ্য প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা সেগুলো প্রদান করবেন।

তবে এখানে উল্লেখ করে নেওয়া ভালো যে লাল স্টার চিহ্ন দেওয়া প্রত্যেকটি ঘরের তথ্য আপনাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই পুরন করতে হবে। এভাবে সেই ঘরের তথ্য প্রদান করার পর ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করবেন। আপনি আপনার ভোটার এলাকা চিহ্নিত করবেন এবং এভাবে আপনি আপনার তথ্য সব গুলো পূরণ করার পর আপনার প্রোফাইলে ফেরত চলে আসবেন। সেখান থেকে আপনি একটি ফর্ম তথ্য সহ পিডিএফ এলাকার পূরণ করতে পারবেন এবং সেটি ডাউনলোড করে নিয়ে আপনার এলাকার মেম্বারের স্বাক্ষর এবং পরিবারের কোন সদস্যের স্বাক্ষর দিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে যোগাযোগ করলেই এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *