নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন

বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি গৃহে শতভাগ বিদ্যায় উতায়ন নিশ্চিত করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আপনার জন্য যদি একটি নির্দিষ্ট বাড়ি থাকে এবং আপনি যদি এই বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন অথবা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন তবে আপনাদের এলাকা ভিত্তিতে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এই আবেদনের ভিত্তিতে আপনারা নতুন মিটার এবং বিদ্যুতের সংযোগ পেয়ে যাবেন।

প্রত্যেকটি জিনিস ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে শতভাগ বিদ্যুৎ আয়োজন যাতে নিশ্চিত করতে পারে তার জন্য এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এর কার্যক্রম এই পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ সম্পন্ন হবে। তাই আপনারা যারা নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে সর্বপ্রথমে বলতে চাই যে এটি হাতে লিখে ফরম পূরণ না করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

তাই আপনাদের সুবিধার জন্য নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া এখানে আলোচনা করা হবে এবং কোন ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা এই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে google ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আরইবি মিটার অ্যাপ্লিকেশন ইংরেজিতে লিখে সার্চ করবেন অথবা http://www.rebpbs.com/UI/App/frm_main_application.aspx এই লিংক ব্যবহার করে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করার পেইজে সরাসরি চলে যেতে পারবেন।

সেখানে যদি আবেদন করার নিয়মাবলী আসে তাহলে আপনারা আবেদন অপশনটিতে ক্লিক করবেন এবং সেখানে গেলে আপনারা আবেদন করার জন্য ফরম পেয়ে যাবেন এবং প্রত্যেকটি তথ্য আপনাদেরকে সিরিয়াল অনুসারে প্রদান করতে হবে। তারপরও আপনাদের সুবিধার জন্য কোন ঘরে কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো। প্রথমত আপনাকে আপনি পল্লী বিদ্যুতের কোন সমিতি থেকে এই বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করতে চান তার জন্য সমিতির নাম নির্ধারণ করতে হবে এবং অপশনে গেলেই আপনারা তা পেয়ে যাবেন।

সারা বাংলাদেশে যে সকল এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয় সেই সকল সমিতির নাম লিস্টে চলে আসবে এবং আপনার এলাকা নির্বাচন করতে হবে। সেই সমিতির পাশাপাশি আপনাদেরকে কোন জোনাল অফিস থেকে সংযোগ প্রদান করবে এটি আপনাদেরকে উল্লেখ করতে হবে। এরপরে আপনাদেরকে সংযোগের তারিফ এর কথা উল্লেখ করতে হবে এবং এ বিষয়টি যদি আপনারা নিশ্চিত না হতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি যদি বসত বাড়িতে বসবাস করেন তাহলে আবাসিক অপশনটি নির্বাচন করবেন। আর বাণিজ্যিক হলে বাণিজ্যিক অপশন নির্বাচন করবেন।

এরপরে আপনাকে আবেদনকারীর বিবরণ প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আবেদনকারীর নাম তার পিতার নাম এবং মাতার নাম উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীর স্বামী অথবা স্ত্রী থাকে তাহলে তাদের নাম প্রদান করতে পারেন এবং এটি সম্পূর্ণ অপশনাল বলে এটি আপনাদের ব্যাপার। তারপরে আপনার জন্ম তারিখ ইংরেজিতে প্রদান করবেন এবং জাতীয়তা হিসেবে বাংলাদেশী প্রদান করবেন। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এখানে প্রদান করতে হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ব্যতীত আপনারা পাসপোর্টের নাম্বার দিয়ে এই তথ্যটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

এরপরে আপনার সঙ্গে যোগাযোগের একটি মোবাইল নাম্বার আপনারা ইংরেজিতে প্রদান করবেন এবং আপনার যদি ইমেইল এড্রেস থাকে তাহলে সেখানে ইমেল এড্রেস প্রদান করতে পারেন এবং চাইলে নাও করতে পারেন। এরপরে আপনি লিঙ্গ নির্বাচন করবেন এবং এই ক্ষেত্রে ছেলে হলে পুরুষ এবং মেয়ে হলে স্ত্রী লিঙ্গ নির্বাচন করবেন।এরপরে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে জেলা প্রদান করার পাশাপাশি আপনার উপজেলা এবং থানার নাম প্রদান করুন। স্থানীয় পর্যায়ে আপনার ইউনিয়নের নাম , গ্রামের নাম এবং যদি রোড নাম্বার থাকে তাহলে সেগুলো যথাযথভাবে প্রদান করুন।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অথবা ব্যক্তিগত ঠিকানা প্রদান করার পরে আপনাদেরকে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণ প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে জায়গায় খুঁটি রয়েছে সেই জায়গার বিবরণ দিবেন এবং সেই খুঁটিটি অর্থাৎ আপনার বাসস্থান থেকে সেই খুটির বিবরণ অথবা সেই খুঁটিটি কোন অঞ্চলের ভেতরে রয়েছে এ সকল তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আরও একবার আপনাদের জেলা থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য একে একে প্রদান করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার সেই স্থানের অর্থাৎ জমির মৌজার নাম প্রদান করতে হবে এবং জমির দাগ নাম্বার উল্লেখ করতে হবে এবং খতিয়ান নাম্বার ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। এরপরে আপনার সেই বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার জন্য খুঁটি থেকে আপনার বাসস্থানের অবস্থান এর উপর নির্ভর করে আপনাকে জিওগ্রাফিক তথ্য প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ যে খুঁটি থেকে আপনারা সংযোগ গ্রহণ করবেন তার অবস্থান থেকে আপনার বাসস্থান কতদূর এবং কত ফুট দূরত্বে রয়েছে তা সঠিক তথ্য প্রদান করবেন এবং এক্ষেত্রে যদি মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন তাহলে দেখা যাবে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গ্রহণ করবে না।

এখন ইংরেজিতে নিকটবর্তী সার্ভিস ফুল হইতে আপনার দূরত্ব কত দূর তা উল্লেখ করুন। তাছাড়া এখানে আপনাদের সেই ট্রান্সফরমার থেকে অন্যান্য যে সকল গ্রাহক রয়েছে তাদের যেকোনো একজনের বইয়ের নাম্বার ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে এবং তার হিসাব নম্বর ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। কানেকশন এর বিবরণ হিসেবে আপনারা স্থায়ী সংযোগ উল্লেখ করবেন। তারপরে আপনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর কি কি ধরনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ করতে পারেন তার উল্লেখ করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার বসতবাড়ি অথবা যেখানে আপনি বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছেন সেখানকার লাইটের বিবরণ এবং ফ্যানের বিবরণ সহ অন্যান্য যে সকল ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করবেন সেগুলোর তথ্য এবং সেগুলো কত ওয়াটের তা যথাযথভাবে সেখানে প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে মোট লোড উল্লেখ করতে হবে। যদিও আপনারা উপরের দিকে আপনাদের ঠিকানা সংক্রান্ত এবং সার্ভিস পোলের ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেছেন তার ওপরেও আপনারা একবার বাড়ির প্রতিষ্ঠানের লোকেশন এবং মন্তব্য বাংলায় এমন ভাবে প্রদান করুন যাতে তারা খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের এই ঠিকানা খুঁজে পাই।

এরপরে আপনার প্রমাণ হিসেবে নির্দিষ্ট কিলোবাইটের ভেতরে অর্থ ওয়েবসাইটে যে নির্দিষ্ট রেজুলেশন এর কথা উল্লেখ আছে সেই রেজুলেশন অনুসারে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র আপলোড করতে হবে। সেই সাথে আপনি যেখানে বসবাস করছেন সেই স্থানের জমির খারিজের কাগজ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। এরপরে আপনারা যে তথ্য প্রদান করলেন সেই তথ্য প্রদান যে আপনি নিজে করেছেন এবং প্রত্যেকটা তথ্য সঠিক তা নির্বাচন করার জন্য নিজের ফাঁকা করে টিক চিহ্ন দিন।

এরপরে একটু নিচের দিকে গেলে প্রদত্ত সংখ্যা নিচে আপনাদেরকে লিখতে হবে এবং এটি অবশ্যই ইংরেজিতে লিখে সংরক্ষণ করুন অপশনে ক্লিক করুন। এরপরে আবেদনপত্র সাবমিট করলে আপনাদেরকে একটি ট্রাক আইডি এবং পিন নম্বর প্রদান করা হবে এবং এটি আপনারা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে লগইন করতে পারবেন এবং অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। সেই সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি জমা দিয়ে আপনাদের এই কাগজপত্র পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিলেই আপনাদের কাজ ধীরে ধীরে পদক্ষেপের সাথে গ্রহণ করা হবে এবং তা শুরু করা হবে।

যদি আপনাদের বিভিন্ন কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে সমস্যা হয় তাহলে আপনারা কম্পিউটারের সাহায্যে এই কাজটি করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কম্পিউটার চার্জ কোন কোন দোকানে সংগ্রহ করবেন। তবে এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করুন এবং আবেদন সম্পন্ন হলে আপনাদের প্রত্যেকের তথ্যের সত্যতা যাচাই করে আপনাদেরকে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *