সুপ্রিয় ভিজিটর, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা মোবাইল ট্রাকিং থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কিত যাবতীয় দিকনির্দেশনাবলী পাবেন। আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে মোবাইল ট্র্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। তাছাড়া মোবাইল ট্রাকিং এর সুবিধা গুলো কি কি এবং অসুবিধা গুলো কি কি তার সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আমরা কথা না বাড়িয়ে মোবাইল ট্রাকিং থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কিত তথ্য ছাড়াও এ বিষয়ক আরও কিছু তথ্য জেনে নিই।
মোবাইল ট্রাকিং মূলত কোন কিছুকে অনুসরণ করাকে বোঝায়। অর্থাৎ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করে আপনারা কোন কিছুর অবস্থান নির্ণয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং বিষয়টা ব্যবহার করতে পারি নির্দ্বিধায়। মোবাইল ট্রাকিং এর ফলে আমাদের কোনো উল্লেখযোগ্য বস্তু দেশের অথবা বাইরের কোন প্রান্তে রয়েছে তার সম্পর্কে জানতে পারি। সে সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেওয়ার থাকলে আমরা তা নিতে পারি।
মোবাইল বন্ধ রাখলে কি ট্র্যাক করা যায়?
কোন ব্যক্তিকে যদি গাড়ি বা মোবাইল হারিয়ে যায় তাহলে মোবাইলের অথবা গাড়ির জিপিএস অন করে তা ট্র্যাকিঃ করা সম্ভব হয়। সেই মোবাইল এবং গাড়ি কোন এলাকায় অবস্থান করছে তারা জেনে প্রশাসনের সহায়তায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাছাড়া বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন অনলাইন অর্ডার করে থাকি এবং সেই পণ্যগুলো কোন অবস্থানে আছে তা জানার জন্য বিভিন্ন এপস এর মাধ্যমে তার অবস্থান নির্ণয় করি।
ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে যেমন আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে তেমনি আমাদের জন্য বেশ অসুবিধাও রয়েছে। যেহেতু ট্র্যাকিং মান অনুসরণ করা যেহেতু এটি আমাদের বাস্তব জীবনের গোপনীয়তাঃ নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া ট্র্যাকিং করার ফলে মনে হয় যে আমাদের সঙ্গে কেউ একজন সব সময় আমাদেরকে অনুসরণ করছে। তাছাড়া ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি অনেক সময়ই অনেকেই চুরি করে নিতে পারে। তখন আমরা সমস্যায় পতিত হই।
সেজন্য ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে আমাদের যেগুলো করতে হবে তার সম্পর্কে আপনার একটু বিস্তারিতভাবে পড়ুন এবং নিয়মগুলো মেনে চলুন। তাহলে কেউ আপনাকে ট্র্যাকিং করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরির পাশাপাশি আপনার অবস্থান জানতে পারবে না এবং আপনি সম্পূর্ণভাবে নিজ গন্ডির মধ্যে স্বাচ্ছন্দভাবে চলতে পারবেন।
সবচেয়ে সহজে ট্র্যাকিং করা যায় যখন আমরা আমাদের মোবাইলের লোকেশন চালু রাখি। মোবাইলের লোকেশন চালু রাখলে গুগোল আমাদের অবস্থান বুঝতে পারে এবং যারা ট্র্যাক করে তারা গুগলের সাহায্যে এবং অন্যান্য কোড ব্যবহার করে আমাদের লোকেশন খুব সহজেই জেনে ফেলে। সুতরাং আমাদের প্রয়োজন ছাড়া লোকেশন চালু রাখব না।
আমরা অনেক সময় ফোনে জিপিএস অপশনটি অজান্তে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে চালু রাখি। অন্য কোন মানুষ আপনার মোবাইলের জিপিএস অপশনটির মাধ্যমে আপনার লোকেশন খুব সহজেই জেনে যেতে পারবে। এতে আমাদের স্বাভাবিক জীবন বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই মোবাইলের জিপিএস অপশনটি আপনি বন্ধ রাখুন যদি মোবাইলের ট্র্যাকিং থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান।
আমাদের বিভিন্ন অ্যাপস এ প্রবেশ করলে অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ আসে এবং সেগুলোর স্প্যাম বক্সে আমরা ক্লিক করে মেসেজটি খুলি। এই মেসেজ ওপেন করার কারণে আমাদের ব্যক্তিগত ই-মেইল এবং অন্যান্য তথ্যাদি যে কোন মানুষ যেকোন সময় হ্যাক করে নিতে পারে।
আমরা অনেক সময় ফোনের রুট ব্যবহার করি। যারা আপনার লোকেশন জানতে চাইবে এবং আপনাকে ট্র্যাক করতে চাইবে তারা এই রোড ব্যবহার করে খুব সহজেই তাদের কার্য সমাধা করতে পারে। তাই আমরা ফোনের রুট বন্ধ রাখবো এবং ফোনের অ্যাক্সেস যাতে কেউ না পায় সেদিকে খেয়াল রাখব। এভাবে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
তাছাড়া আমরা অনেক সময় যেগুলো আমাদের ফোনের জন্য ক্ষতিকর এবং আমাদের ট্র্যাক করতে পারে এমন অ্যাপস আমরা ডাউনলোড করি। গুগল প্লে স্টোর ব্যতীত অন্য কোনোখানে অ্যাপস ডাউনলোড করলে আমরা এধরণের সমস্যায় পতিত হতে পারি। তাই আমাদের ফোনের জন্য কোন প্রয়োজনে অ্যাপস নামাতে হলে আমরা গুগল প্লে স্টোরে সাহায্য গ্রহণ করব। আর সেই অ্যাপস যদি গুগল প্লে স্টোরে না পাওয়া যায় তাহলে আমরা বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের সহায়তা গ্রহণ করব।
বিভিন্ন ধরনের লিংকে ক্লিক করা থেকে আমরা নিজেদের বিরত রাখবো। তার বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় লিংকে ক্লিক করলে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোথাও চলে যাই। তাই হ্যাকারদের এ ধরনের সুবিধা না দিয়ে আমরা যেকোনো ধরনের লোভনীয় লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকব।
আশা করছি যে উপরের আলোচনা গুলো মাধ্যমে আপনারা মোবাইলে ট্র্যাকিং থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। তাই নিজের তথ্য নিজের কাছেই সংরক্ষণ রাখতে উপরে উল্লেখিত কাজগুলো আমরা করব না এবং তা মেনে চলবো। এতে আমরা নিজেদের প্রাইভেসি যেমন রক্ষা করতে পারব তেমনি আমরা বাস্তবিক জীবনে সুন্দরভাবে সব জায়গায় চলাফেরা করতে পারব।