লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন

আপনারা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার ক্ষেত্রে লার্নার হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাদেরকে অনলাইনে ফরম পূরণ করার বিস্তারিত নিয়ম এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। আপনি যখন যাবতীয় শর্ত পূরণ করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চাইবেন তখন আপনাকে সরাসরি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে হলে সর্ব প্রথমে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

আর এটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার একটা পূর্ব শর্ত। তাই লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে অথবা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে তা আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জেনে নিতে পারেন। নিচে আপনাদের জন্য লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার বিস্তারিত নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হলো।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে অর্থাৎ বি আর টি এর যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করবেন তার এড্রেস হলো https://bsp.brta.gov.bd/ । এই ঠিকানা আপনার এখান থেকে কপি করে নিয়ে সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং সেখানে গিয়ে আবেদন শুরু করুন। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা শিক্ষানবির ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার প্রথম ধাপে আপনাদের থেকে যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসরণ করে দিয়ে দিবেন। তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল রাখা যাবে না যাতে পরবর্তীতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোন ভুল তথ্য আসে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সকল শর্ত সমূহ রয়েছে সেগুলো আপনাকে আগে পূরণ করতে হবে। এই আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণীর পাস হওয়া লাগবে। যদি আপনি অপেশাদার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চাইলে ২১ বছর বয়সের পরে আবেদন করবেন। তাছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ নেই অথবা মানসিকভাবে সুস্থ আছেন শারীরিকভাবে সুস্থ নেই এমন সকল ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা যাবে না বা আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

উপরের লিংক ব্যবহার করে যখন আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন তখন সেখানে আপনাদের থেকে যে সকল তথ্য যাওয়া হবে সেগুলো সঠিকভাবে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। সেখানকার আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাদেরকে অথবা আবেদনকারীর ছবি নির্দিষ্ট রেজুলেশনে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। তাছাড়া আবেদন করার ক্ষেত্রে একজন রেজিস্টার ডাক্তার থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে যেটাতে উল্লেখ থাকবে আপনি শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ।

এক্ষেত্রে ছবির নির্দিষ্ট রেজুলেশন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি স্ক্যান করতে হবে। এগুলো স্ক্যান হয়ে গেলে আপনাদেরকে ইলেকট্রিসিটি বিল এর কপি স্ক্যান করতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করার মাধ্যমে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাদেরকে নির্ধারিত পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে।

এগুলো প্রদান করার পর আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরে আপনাদেরকে দুই থেকে তিন মাস পর পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে অথবা এসএমএস দিয়ে জানানো হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি নিয়ে আপনাদেরকে সেখানে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে যে ধরনের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। অংশগ্রহণ করা হয়ে গেলে আপনারা সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে আসতে পারবেন এবং উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনাকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে। তবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো আপনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে এবং এই নিয়ম অনুসরণ করার ভিত্তিতে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *