বাংলায় ও ইংরেজিতে নিজের ঠিকানা লেখার নিয়ম

আপনারা যারা নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য লিখতে গিয়ে ভাবেন যে কীভাবে এই তথ্য প্রদান করা হলে যথোপযুক্তভাবে প্রদান করা হবে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট করা হয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজিতে একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা নিজের ঠিকানা লেখার নিয়ম আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। নিজের সিভি অথবা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনাদের যখন ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা লাগে তখন সেখানে কোন ঠিকানা আগে দিবেন এবং কোন ঠিকানা পরে দেবেন এ বিষয়ে আপনাদের ভেতরে কনফিউশন চলে আসে।

সে ক্ষেত্রে আপনারা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন বাংলা এবং ইংরেজিতে নিজের ঠিকানা লেখার সঠিক নিয়ম। এই নিয়ম জেনে নিলে আপনারা পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের জায়গায় তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনার ঠিকানা লেখার স্থানে কোন তথ্য প্রদান করবেন এবং সিরিয়াল অনুযায়ী কোন ঠিকানা আগে প্রদান করতে হবে এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে যে আপনার কনফিউশন রয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। আপনি যখন ক্রমাগত বড় হতে থাকেন এবং স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়েন অথবা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হন তখন আপনাকে সেখানে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা লাগে।

তবে বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক প্রত্যেকটি কাজ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে আপনাদেরকে ঠিকানা চাওয়ার ক্ষেত্রে অপশন প্রদান করা হয় এবং আপনারা সেই অনুযায়ী নিজেদের ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা যখন তথ্য প্রদান করেন তখন আপনাদের কে সর্বপ্রথম বিভাগ নির্বাচন করতে হয়, তারপরে জেলা, উপজেলা, পোস্ট অফিস, থানা এবং গ্রামের নাম উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু আপনি সামনে যখন ফাঁকা পেজ দিয়ে দেওয়া হবে এবং আপনাকে আমি সেখানে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য লিখতে বলা হবে তখন আপনি কোন নিয়ম অনুসরণ করে কোন তথ্য প্রদান করবেন তা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

মূলত ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য যখন সাদা পেজে লেখা হয় তখন সেখানে আপনার গ্রামের নাম আগে লিখতে হবে। এরপর ক্রমানুসারে আপনার উপজেলার নাম লিখতে হবে। তারপরে আপনার পোস্ট অফিস অথবা থানার নাম উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা অথবা চিহ্ন দিয়ে এই কাজটি করতে পারেন। তাছাড়া সবশেষে আপনি আপনার জেলা উল্লেখ করলেই হবে। অর্থাৎ এই চারটি তথ্য আপনারা বাংলাতে লিখুন অথবা ইংরেজিতে লিখুন না কেন এভাবে প্রদান করুন।

তাহলে কেউ আপনাদের ভুল ধরতে পারবেনা এবং আপনারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে সাদা পেজে আপনাদের ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য লিখতে পারবেন। আর অনলাইনে যেভাবে তথ্য প্রদান করা আছে ঠিক সেভাবেই আপনারা তথ্য প্রদান করবেন। আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করলাম এই পোষ্টের মাধ্যমে এবং এক্ষেত্রে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কমেন্ট বক্সে আপনাদের মূল্যবান মতামত লিখে জানিয়ে দিতে পারেন। প্রধানত আমরা যখন বড় হয়ে যায় তখন আমাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজের জন্য তথ্য প্রদান করতে হয়।

এই তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনারা যখন বাংলায় অথবা ইংরেজিতে নিজের ঠিকানা লিখে দেন তখন আপনাদেরকে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাছাড়া আপনার নাম এবং অন্যান্য তথ্য অবশ্যই আপনার সার্টিফিকেট অথবা অন্যান্য ডকুমেন্টস এর সঙ্গে মিল আছে এভাবে তুলে দিবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের ঠিক যেভাবে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য লিখে দেওয়া আছে সেই ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য আপনারা বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লিখতে পারেন।

ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য এভাবে লিখে দেওয়ার পর আপনাদের সামনে যদি বর্তমান ঠিকানা অথবা স্থায়ী ঠিকানা চাওয়া হয় তাহলে আপনারা সেটি আপনাদের ঠিকানা বিবেচনা করে অবশ্যই প্রদান করবেন। তবে আপনারা যারা শহর পর্যায়ে বসবাস করেন এবং যাদের বাসা নম্বর এবং রোড নাম্বার রয়েছে তারা সর্ব প্রথমে আপনাদের এই তথ্যগুলো প্রদান করার পরে ক্রমাগতভাবে অন্যান্যভাবে তথ্যগুলো প্রদান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *