বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনাচরণ অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। মানুষের জীবনাচরণ যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি প্রযুক্তি তাদের জীবনকে বিভিন্ন ভাবে পরিচালিত করছে এবং মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তি পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারে। সকাল থেকে রাত অবধি না কেটে মানুষ এখন কয় ঘন্টা কাজ করে তাদের জীবন পরিচালনা করতে পারে। মানুষ যেমন ইন্টারনেটের ছোঁয়ায় বিশ্বের সকল কিছুকে হাতের মুঠোয় আনতে পেরেছে, তেমনি ঘরে বসেই টাকা আয় করার পাশাপাশি সকল ধরনের পণ্য পেয়ে যাচ্ছেন।
মানুষকে এখন আর ঘরের বাইরে বের না হলেও চলছে। তাই মানুষ এখন ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রযুক্তি মূলক কাজ করে দৈনন্দিন জীবনে টাকা আয় করে নিজেদের জীবন নির্বাহ করছেন। এখন টাকা আয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সাইট তৈরি হয়েছে এবং এ সকল সাইটে মানুষ যদি ঢুকে বিজ্ঞাপন দেখে তাহলে টাকা আয় করার সুযোগ পাই।
কুইক লিংক
ইন্টারনেট থেকে ইনকাম কি হালাল
তবে বর্তমান সময়ে এটি একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করা কি হালাল না হারাম। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করা কি হালাল না হারাম সম্পর্কে সরাসরি উত্তর পাবেন না। তবে এই নিয়ে আপনাদের কিছু ভেতরের কথা বলব এবং তার থেকে আপনাদের নিজেদেরকে বিচার করে নিতে হবে যে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করা হালাল নাকি হারাম। তবে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আলেম বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রদান করছেন।
আপনারা চাইলে সেগুলো দেখে নিতে পারেন এবং আপনার নিকটস্থ কোনো আলেম এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা এ সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞান মূলক কথা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই যে বিজ্ঞাপন দেখা কি হালাল নাকি হারাম। আশা করি এই পোষ্ট আপনাদের অনেক কনফিউশন দূর করে দেবে।
তবে অনেকেই জানতে চেয়েছিলাম যে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা কিভাবে আয় করতে হয়। বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করার বিভিন্ন ধরনের নিয়ম রয়েছে। আপনি যখন নির্দিষ্ট কোন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের ওখানে একাউন্ট খুলবেন তখন আপনি সেখানকার একজন সদস্য হয়ে যেতে পারছেন। তখন আপনাকে ওই ওয়েবসাইট বা অ্যাপসের হয়ে কোন নির্দিষ্ট কাজ করতে হচ্ছে। এসকল নির্দিষ্ট কাজের ভেতরে রয়েছে বিজ্ঞাপন দেখা, গেমস খেলা, সার্ভে করা, সার্চ করা ইত্যাদি। তবে এ সকল কাজের পেমেন্ট খুব একটা বেশি দেওয়া হয় না।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম কি হালাল
তাছাড়া সরাসরিভাবে ডলার বা টাকা প্রদান না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পয়েন্টস প্রদান করা হয়ে থাকে। এসকল পয়েন্টস ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন ভাউচার কার্ড বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন শপিং থেকে পণ্য কিনে নিতে পারবেন। তাই উপরের যে সকল কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো আপনারা ঘরে বসে আপনার মোবাইল ফোন অথবা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে টাকা সীমিত পরিমাণে আয় করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখছেন সেগুলো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমরা যখন আগেকার দিনের টিভি অথবা রেডিও শুনতাম তখন কোন অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো। মূলত আমরা যে অনুষ্ঠান গুলো দেখছি সেই অনুষ্ঠানগুলোর স্পন্সর সেই বিজ্ঞাপন কোম্পানির মালিক। অর্থাৎ সেই কোম্পানির মালিক নিজেদের পণ্যের প্রচার বা প্রসার করার জন্যে জনগণের মাঝে তাদের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাঝে এড গুলো ব্যবহার করা হতো।
বারবার দেখে দেখতে এসেই অ্যাডগুলো এবং পণ্যের সাথে মানুষ পরিচিত হয়ে যেত এবং একসময় সে ধরনের পণ্যের প্রয়োজন হলে মানুষজন বাজারে গিয়ে সেই পণ্য সংগ্রহ করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ ধারণার কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন টেলিভিশনের চাইতে মোবাইল ফোনে ইউটিউব ফেসবুক দেখে থাকে। তাছাড়া কোনো কিছুর প্রয়োজন বা জানার দরকার হলে মানুষ গুগলে গিয়ে সার্চ করে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট সেসকল সার্চের ফলাফল দেখিয়ে দেয়। মানুষ সেসকল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজেদের তথ্য জেনে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের এড বা অবস্তুগত বিষয়ের অ্যাড দেখতে পাই।
অনলাইন থেকে হালাল ভাবে ইনকামের উপায়
আরে সকল এন্ড দেখানোর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এড ব্যবহার করে এবং নির্দিষ্ট ভিডিও গুলোতে অ্যাড দেখিয়ে থাকে। এসব কোন বিজ্ঞাপন হতে পারে কোন কোন কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠান এর। সাধারণত যে সকল পণ্য বাজারে মার্কেটে যাই বা প্রচলিত হয়ে যায় সেসব অন্য একটি কোম্পানির পক্ষে বিক্রি করা খুবই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে গ্রাহকদের কাছে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে গুগলের কাছে এডসেন্স দিয়ে থাকে।
গুগোল তাদের লভ্যাংশ রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেই এডসেন্স ব্যবহার করে এবং গ্রাহকদের এডসেন্স দেখার সুযোগ করে দেয়। বর্তমানে অনলাইনের যুগে প্রত্যেকটি পণ্যের বিজ্ঞাপন ঠিক এভাবে চলে আসছে। কিন্তু আপনি যখন শুধু বিজ্ঞাপন দেখতে যাবেন তখন আপনার চিন্তা থাকবে যে তাড়াতাড়ি সময়ে বিজ্ঞাপন দেখে নেওয়া। এভাবে আপনি একের অধিক বিজ্ঞাপন দেখবেন এবং কোন ওয়েবসাইটের হয়ে কাজ করে দিয়ে তার বিনিময়ে কিছু পয়েন্ট বা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। একজন প্রকৃত গ্রাহকের ক্ষেত্রে আপনি শুধু বিজ্ঞাপনী দেখে গেলেন। কিন্তু সেই পণ্যের প্রতি আগ্রহী হলেন না এবং সেই পণ্য কখনো কেনার জন্য মনোভাব প্রকাশ করলেন না।
একটা কোম্পানি যখন গুগলকে বিজ্ঞাপন দেয় তখন গুগোল যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটকে অথবা অন্য কোন অ্যাপস কে সেই বিজ্ঞাপন দিয়ে দেয় এবং সেই কোম্পানি যখন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ভারাই লোক খাটিয়ে এডসেন্স দেখানোর ব্যবস্থা করে, তখন প্রকৃত কোম্পানি খুব একটা লাভবান হয় না। তবে সেক্ষেত্রে একটা কোম্পানি যদি লাভবান হয়ে থাকে তাহলে আপনার উপরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। তবে আপনি যখন বিজ্ঞাপন দেখছেন এবং এই বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আরও 10 জনের কাছে প্রচার করছেন তখন সেই প্রশ্নের মাধ্যমে জিনিসটির পরিচিতি বেরিয়ে আসছে এবং সেই বিষয়টি বা জিনিসটি একসময় বিক্রি হয়েও যেতে পারে।
এই সাধারন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি আপনার মত করে ভাবুন যে, আপনি যে বিজ্ঞাপন দেখছেন সেই বিজ্ঞাপন দেখে আপনি কিছুটা লাভবান হচ্ছেন। এতে যদি সেই কোম্পানির আহ্বান হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনার উপরে কোন দায়ভার আসেনা। তার পরেও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এ বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন এবং ডিভাইসের মাধ্যমে একের পর এক পেজে যাচ্ছেন এবং আপনি আপনার শারীরিক পরিশ্রমের চাইতে মানসিক পরিশ্রম প্রদান করছেন। সেক্ষেত্রে আপনার পারিশ্রমিক হিসেবে যত সামান্য পরিমাণের পয়েন্টস বা টাকা আপনার প্রাপ্য।
তাছাড়া আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরো কোন কনফিউশন থাকে তাহলে আপনারা আপনার নিকটস্থ কোনো আলেম বা মাওলানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি বিতর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর সেহেতু আপনারা এটা নিজেদের মতো করে ভাবুন এবং চাইলে অন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন।
free fire